হলিউডে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর আলী ফজল

হলিউডে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর আলী ফজল



হলিউডে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর আলী ফজল


‘থ্রি ইডিয়টস’-এর আলী ফজলের কথা মনে আছে? ওই যে একটি ছেলে পড়াশোনার চাপ না সইতে পেরে কলেজ হোস্টেলে আত্মহত্যা করেছিল। গিটার বাজিয়ে গেয়েছিল গান, ‘গিভ মি সাম সানশাইন/গিভ মি সাম রেইন/গিভ মি অ্যানাদার চান্স/আই ওয়াননা গ্রো আপ ওয়ান্স অ্যাগেইন।’
আমির খান, শরমন যোশী, মাধবনের পাশাপাশি ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল আলী ফজলকে। তখনো তিনি তারকা হয়ে ওঠেননি। সবে ক্যারিয়ার শুরু করছেন।
‘থ্রি ইডিয়টস’ ফজলের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এবার তিনি হলিউডে পাড়ি দিচ্ছেন। হলিউড পরিচালক স্টিফেন ফ্রেয়ার্সের পরবর্তী ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে ২৯ বছর বয়সী এ তরুণ অভিনেতাকে। তাঁর বিপরীতে হলিউড তারকা ডেম জুডি ডেঞ্চ। 
‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল’ ছবিটির ঘোষণা আগেই এসেছিল। ভারতীয় সাংবাদিক-লেখিকা শ্রাবণী বসুর ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল: দ্য ট্রু স্টোরি অব দ্য কুইন’স ক্লোজেস্ট কনফিড্যান্ট’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হবে। চিত্রনাট্য লিখেছেন লি হল। 
ছবির গল্প পুরোপুরি ইতিহাসনির্ভর। আগ্রার অধিবাসী আবদুল করিম ২৪ বছর বয়সে ইংল্যান্ড যান। রানির সহকারী হিসেবে কাজ পান এ সুদর্শন তরুণ। অচিরেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। 
করিমের মাধ্যমে রানি ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারেন। খুশি হয়ে রানি তাঁকে মুনশি উপাধি দেন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে রাজপরিবারে ঘটে নানা ঘটনা। বলা হয়ে থাকে, উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় রানিকে নানা বিষয়ে প্রভাবিত করেছিলেন আবদুল করিম। 
১৯০১ সালে রানি ভিক্টোরিয়া মারা গেলে ভারতে ফিরে আসেন আবদুল করিম। জীবদ্দশায় আবদুল করিমকে অনেকগুলো চিঠি লেখেন রানি, করিমও তা-র উত্তর দেন। পরবর্তীতে চিঠিগুলো পুড়িয়ে ফেলেন রানির ছেলে সপ্তম এডওয়ার্ড। ১৯০৯ সালে ভারতের আগ্রায় মারা যান আবদুল করিম। 
আগামী মাসে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। শুটিং হবে ভারত, স্কটল্যান্ড ও অন্য কিছু লোকেশনে।
জুডি ডেঞ্চ এর আগেও ভিক্টোরিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া সে ছবির নাম ‘মিসেস ব্রাউন’। নামী এ অভিনেত্রীকে জেমস বন্ডের সাতটি সিনেমায় দেখা গেছে। ডেডলাইন ও ডেইলি মেইল অবলম্বনে।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট