মেসির অনুপস্থিতিতেই কর ফাঁকির মামলার বিচার শুরু
আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, শুনানির সময়ে তিনি থাকবেন আদালতে। শত শত সাংবাদিক, আলোকচিত্রীও তাই উপস্থিত ছিলেন বার্সেলোনার আদালত প্রাঙ্গণে। লিওনেল মেসির কর ফাঁকির মামলায় বিচার বলে কথা! কিন্তু একটু চমকে যেতে হলো তাঁদের, আজ থেকে শুরু হয়েছে বিচারের কার্যক্রম, শেষ হবে ২ জুন। অথচ মেসিই আসতে পারেননি আদালতে।
না থাকার মূল কারণ চোট। মেসির পক্ষের আইনজীবী আদালতের কাজের শুরুতে জানিয়ে দিয়েছেন, গত ২৮ মে হন্ডুরাসের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে পিঠের নিচের অংশে আঘাত পেয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। কোপা আমেরিকা শুরু হচ্ছে দুই দিন পর, যেখানে চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ৬ জুন। তার আগে সেরে উঠতে এখন চিকিৎসকের সঙ্গেই বেশি সময় দিতে হচ্ছে মেসিকে।
তবে মেসি না আসতে পারলেও তাঁর বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি উপস্থিত ছিলেন আদালতে। কর ফাঁকির বিষয়ে তিনটি ভিন্ন মামলা আছে তাঁদের দুজনের বিপক্ষে। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুজন মিলে বেলিজ ও উরুগুয়েতে কয়েকটি ভুয়া কোম্পানির কাগজপত্র দেখিয়ে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রায় ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন।
স্পেনের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলিরা বলছেন, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে জরিমানার পাশাপাশি দুজনেরই সাড়ে ২২ মাস জেল হওয়া উচিত। যদিও স্পেনের আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রথমবার হলে এবং সেটার সাজা দুই বছরের কম হলে অভিযুক্তকে জেল খাটতে হয় না।
অবশ্য মেসি নিজেই আগে জানিয়েছেন, এসবের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগ নেই। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে মেসি বলেছিলেন, ‘অর্থের বিষয়গুলো বাবাই দেখেন। আমি শুধু সই করি, কিছু পড়ে দেখি না। আমি বাবাকে বিশ্বাস করি। আমি শুধু ফুটবলেই মনোযোগ দিতে চাই।’ এএফপি।